মাশরুম চাষ করার ব্যবসা: আমরা আপনাদের স্বনির্ভর করার জন্য নিত্য নতুন ব্যবসার তথ্য দিয়ে থাকি যা আপনার ঘরে বসে বা সামান্য কিছু টাকার দ্বারা শুরু করতে পারেন এবং ভালো টাকা ইনকাম করতে পারেন।
এই নিউজে আপনারা মাশরুম চাষ ব্যবসার সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন। এই ব্যবসার দ্বারা ভালো টাকা রোজগার করা যাবে।
মাশরুমের ব্যবসা কেন লাভবান :
মাশরুম চাষের ব্যবসা বিগত কয়েক বছরে ভারতের বাজারে ভালোই জায়গা তৈরী করে ফেলেছে। বর্তমান বাজারে মাশরুমের চাহিদা বেড়ে চলেছে যার ফলে প্রচুর বেকারদের কাজের সুযোগ হয়েছে।
এই ব্যবসা করে বর্তমান বাজারে দুর্দান্ত ইনকাম করা যাচ্ছে। এই ব্যবসা এমন একটি ব্যবসা যেটা বাড়ির একটি রুম থেকে নিয়ে বিশাল আকারের উদ্যোগীক ভাবে কাজ করা সম্ভব।
যত পুঁজি তত দিয়ে এই কাজ শুরু করা যায় এর একটু মার্কেটিং করলেই এই ব্যবসা বড় আকার নিতে বেশি সময় নেই না।
মাশরুমের বীজের দাম কত :
মাশরুম বীজ ৭০ টাকা প্রতি কেজি থেকে শুরু হয়ে থাকে। আলাদা আলাদা ব্র্যান্ড অনুসারে দামের মধ্যে পরিবর্তন থাকে।
মাশরুমের অনেক প্রকার থাকে তাই আপনি আগে থেকে ভেবে নিতে পারেন যে কি ধরণের মাশরুমের চাষ করতে চান।
সেই মাশরুমের বীজ কিনবেন। এই বীজ আপনি অনলাইন কিনে নিতে পারেন, বাজারেও এই বীজ পাওয়া যায়।
কিভাবে করবেন মাশরুমের চাষ :
মাশরুমের চাষ আপনি ঘোরেতেও করতে পারেন। এর জন্য একটি রুমের দরকার হবে যেখানে কাঠের জাল তৈরী করে মাশরুম চাষ করতে পারেন।
পরিষ্কার ধান বা গমের খড় ব্যবহার করতে হবে সার হিসাবে। এতে জল, ফর্মালিন, বেবীস্ট্যান নামক কেমিক্যাল মিলাতে হয়। মাশরুম চাষের সমস্ত তথ্য ইউটুবে বা অন্যান্য ওয়েবসাইটে ভালো ভাবে পেয়ে যাবেন।
৩০ থেকে ৪০ দিনের ভিতরে মাশরুম তৈরী হয়ে যায়।
এই ভাবে বড় আকারের যদি ব্যবসা শুরু করতে চান তও করা সম্ভব। এর জন্য দরকার হবে বড় আকারের জায়গা আর কাজের জন্য কিছু লোক।
এই ব্যবসা থেকে কেমন লাভ করতে পারবেন :
এই ব্যবসার থেকে লাভ দেখতে গেলে বর্তমান মার্কেট অনুসারে যদি ১০০ বর্গফুট জায়গার মধ্যে এই ব্যবসা শুরু করা যায় তাহলে প্রায় ১ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ পর্যন্ত টাকা প্রতি বছর কমাতে পারবেন।
যেহেতু মাশরুম ফসল কম সময়ের মধ্যে তৈরী হয়ে যায় সেহেতু বেশি অপেক্ষা করতে হয় না ইনকামের জন্য।
লাভের পরিমান আপনার কাজের ওপর নির্ভর করছে যত বেশি জায়গা জুড়ে কাজ করবেন লাভ তত বেশি পাওয়া যাবে।
কোথায় আছে মাশরুমের চাহিদা :
মাশরুমের চাহিদা বিশেষ ভাবে বিভিন্য হোটেলে, ওষুধপত্রের কোম্পানি, রাসায়নিক কোম্পানি ইত্যাদি জায়গায় এই ভালো চাহিদা রয়েছে।
মাশরুমের ব্যবহার চাইনিজ খাবারে বেশিরভাগ করা হয়। এছাড়া ওষুধ তৈরী করতে মাশরুমের বিশেষ কাজে লাগে।
মাশরুম বিদেশে পাঠানো হয় যেখানে এর বেশি চাহিদা আছে। নিজের থেকেও অনলাইনে বিভিন্ন শপিং সাইট দ্বারা মাশরুম বিক্রি করা যায়।
আপনাদের যদি এই ব্যবসার তথ্য ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই সকলের সাথে শেয়ার করবেন। কারো কাজে লাগলে আমাদের কাজ সার্থক হবে। কারো ভালো করার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।
মোদী সরকারের নতুন যোজনা, রাজ্য সরকারের নতুন যোজনা, নতুন ব্যবসা ও কাজের তথ্য এবং এই ধরণের আরো তথ্যের জন্য নজর রাখবেন আমাদের ওয়েবসাইটে। ধন্যবাদ।