West Bengal Swasthya Sathi Card 2024 – SSC (স্বাস্থ্য সাথী কার্ড 2024), স্বাস্থ্য সাথী কার্ড কি? স্বাস্থ্য সাথী কার্ড কিভাবে পাবেন? স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর জন্য কিভাবে আবেদন করবেন? এবং এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আরও তথ্য এখানে দেখুন।
স্বাস্থ্য নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে সবথেকে বেশি সচেতনতা বোধ থেকে থাকে। সেই কারণে ছোট থেকে বড় সকলের জন্য স্বাস্থ্য সচেতনতা কতটা জরুরী সেটা আজ বর্তমান সময়ে সকলের অজানা নয়।
আর এই করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেকেই ভালোমতো সচেতন হয়েছেন। সেই কারণে এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার রাজ্য বাসীদের জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর ব্যবস্থা করেছে। যার মধ্যে দিয়ে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবীমা এক একটি পরিবার পেতে পারে। তো চলুন তাহলে জানা যাক, এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড কি?
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড কি:
সম্পূর্ণ রাজ্যের প্রত্যেকটি পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বীমা। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যেকটি পরিবারকে একটি করে কার্ড দেওয়া হবে। যে কার্ড সেই পরিবারের প্রধান যে মহিলা সদস্য রয়েছেন তার নামে ইস্যু করা হবে, এক্ষেত্রে সমস্ত রকম ধর্ম, বর্ণ ও পেশা নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারবেন।
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় প্রায় সাড়ে ৭.৫ কোটি লোককে অর্থাৎ রাজ্যবাসীকে যুক্ত করা হয়েছিল। তবে এখন বর্তমানে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ মহিলা বা যে কোন ধর্ম থেকে প্রত্যেক ব্যক্তিকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মাধ্যমে কি কি সুযোগ সুবিধা পাবেন:
পশ্চিমবঙ্গ সরকার আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের জন্য স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের বাস্তবায়ন করেছে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের এমন অনেক মানুষ আছেন যারা কিনা খুবই দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করেন।
সেক্ষেত্রে দিন আনা দিন খাওয়া দিনমজুর দের জন্য দৈনন্দিন জীবনের অন্যান্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য আলাদা করে স্বাস্থ্যবীমা তৈরি করা প্রায় কঠিন হয়ে পড়ে।
সে ক্ষেত্রে এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড প্রত্যেকটি পরিবারে স্বাস্থ্যের চিন্তাভাবনাকে অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে। বলতে গেলে প্রত্যেকটি পরিবারে পাঁচ লক্ষ টাকা করে স্বাস্থ্য সাথী বীমা তাদের জীবন যাত্রাকে অনেকটা সুবিধা করে দেবে।
এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা নির্দিষ্ট হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন, মেডিকেল বীমা প্রকল্প চালু করা হয়েছে এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মধ্যে দিয়ে।
গ্যাস এজেন্সি ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু করে প্রচুর ইনকাম করবেন কিভাবে
যে সমস্ত সুবিধা পাওয়া যেতে পারে:
- সমস্ত মানুষের জন্য একেবারে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা।
- এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে অসংখ্য মানুষ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
- এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সাথে সাথে সুবিধা ভোগীরা স্বাস্থ্য বীমা কভারের হিসাবে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা স্বাস্থ্যবীমা পাবেন।
- প্রত্যেক পরিবারকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর জন্য তাদেরকে একটি করে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে।
- এই প্রকল্পের আওতায় যে সমস্ত হাসপাতাল অথবা নার্সিংহোম পড়বে সেগুলিতে বিনামূল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা পাওয়া যাবে।
- স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত কোন পরিবারের যে কোন ব্যক্তি যদি বিশেষ কোনো জটিল রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েন তা হলে চিকিৎসার জন্য সরকারের তরফ থেকে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যসুরক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
- এছাড়া স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় যে সমস্ত মানুষ তারা অসুস্থতার সময় বিনামূল্যে ওষুধ, খাবার, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং হাসপাতালে চিকিৎসার পরিসেবা গ্রহণ করার সম্পূর্ণ সুযোগ পাবেন।
- এছাড়া এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় যদি কোনো রোগীকে জটিল কোনো রোগের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়, তাহলে এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে থাকছে আরও অনেক বেশ কিছু সুবিধা।
- যেমন ধরুন হাসপাতালে রোগিকে ভর্তির আগে এবং হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরবর্তী পাঁচ দিন পর্যন্ত রোগীর ঔষধ বিনামূল্যে দেওয়া হবে সেই হাসপাতাল থেকে।
- এছাড়াও হাসপাতালে যাওয়া এবং সেই হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আসা পর্যন্ত যে যাতায়াতের খরচ হয়, সেটাও কিন্তু সরকার থেকে এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে অতিরিক্ত ২০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগবে:
- পরিচয় পত্র
- ঠিকানার প্রমাণপত্র
- রেশন কার্ড
- আধার কার্ড
- আবেদনকারীর মোবাইল নাম্বার।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করার জন্য আবেদনকারীর যোগ্যতা:
যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর কোন না কোন যোগ্যতার প্রয়োজন হয়, তবে এই যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে সেই কাজ সম্পন্ন করা হয়ে থাকে, তেমনি এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর ক্ষেত্রেও একই রকম ব্যবস্থা।
এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর যে সমস্ত যোগ্যতা প্রয়োজন পড়বে সেগুলি হল:
- এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা নিতে গেলে আবেদনকারী য কোনো ব্যক্তি বা তার পরিবারকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
- আবেদনকারী ধনী না গরীব এবং তার মাসিক আয় কতটা সেসব সম্পর্কে কোন রকম দেখা হবে না।
- শুধুমাত্র তিনি এই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাসিন্দা কিনা এটাই দেখা হবে।
- আবেদনকারী ব্যক্তি নিরাপত্তাকর্মী, আইসিডিএস কর্মী, হোমগার্ড, গ্রীন ভলেন্টিয়ার, সিভিক ভলেন্টিয়ার্স, সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার্স, ভিলেজ ভলেন্টিয়ার্স ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে কিন্তু এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- এছাড়া আবেদনকারী কত টাকা উপার্জন করছেন তা কিন্তু কোনোরকম শর্তসাপেক্ষ নয় বা বাধ্যবাধকতা থাকছে না।
- এছাড়া আবেদনকারী শ্রমিক হতে পারেন। দিনমজুর হতে পারেন বা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরর স্বনির্ভর গোষ্ঠী ভুক্ত, পৌরসভা এলাকায় স্বনির্ভর গোষ্ঠী ভুক্ত, স্বাস্থ্যকর্মী, আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি ওয়ার্কার সবাই এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- যে কোন পরিবারে বাবা, মা, শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী, স্ত্রী এবং ১৮ বছর পর্যন্ত প্রত্যেক ছেলে মেয় এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন অনায়াসেই।
- ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সমস্ত সদস্য এবং তাদের পরিবার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আংশিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
গোবর গ্যাস প্লান্ট ব্যবসা শুরু করে দারুন ইনকাম করুন, জানুন করবেন কিভাবে?
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের টোল ফ্রি নাম্বার: ১৮০০-৩৪৫-৫৩৮৪
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট: https://swasthyasathi.gov.in/
সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়ার জন্য প্রত্যেক পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা স্বাস্থ্যবীমা পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেওয়ার মধ্যে দিয়ে প্রতিটি পরিবারে নেমে এসেছে খুশির জোয়ার। টাকার অভাবে আর কোন প্রাণ অকালে ঝরে যাবে না। এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের (Swasthya Sathi Scheme) মধ্যে দিয়ে সকলে নতুন ভাবে বাঁচার আশা খুজে পাবেন।
Home | Click here |
Official Website | Click here |