ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং নিয়ে ভারতে আইন কি? ক্রিপ্টো অবৈধ না বৈধ?

Cryptocurrency Trading Laws in Bengali: ক্রিপ্টোকারেন্সি কি? ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা বেচা আইনত না বেআইনি? | ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং নিয়ে ভারতের আইনি নিয়ম কানুন জেনে নিন।

সমস্ত বিশ্বজুড়ে টেকনিকের মধ্যে দিয়ে ডিজিটাল হয়ে চলেছে সমস্ত কিছু। ইন্টারনেট আজ অনেক অসম্ভব কে সম্ভব করে তুলেছে। তার সাথে সাথে জনপ্রিয়তা বেড়েছে প্রচুর পরিমাণে। এছাড়া ইদানিং কিছু সময়ের মধ্যে আভাসি মুদ্রা অথবা ক্রিপ্টোকারেন্সি, এই নাম অনেকেই শুনেছেন। আর এই জনপ্রিয়তা প্রচুর পরিমাণে বাড়তে শুরু করেছে।

কারণ ইন্টারনেট মুদ্রা এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রূপে ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো একটি যা কিনা লক্ষ্য লক্ষ্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দ্বারা হোটেল বুক, এমনকি ফ্লাইট টিকিট বুকিং থেকে শুরু করে অলংকার, কম্পিউটার কেনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ডিজিটাল লেন দেন এর জন্য এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। কেননা যে কোনো কেন্দ্রীয় প্রাধিকরণ দ্বারা ক্রিপ্টোকারেন্সি কে দিয়ে নিয়মিত করা যাবে না।

ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং নিয়ে ভারতে আইন কি? ক্রিপ্টো অবৈধ না বৈধ?
ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং নিয়ে ভারতে আইন কি? ক্রিপ্টো অবৈধ না বৈধ?

এই জন্য অধিনিয়ম ক্ষেত্রে ব্যবসা করার জন্য মানি লন্ডারিং তার সাথে ঠকানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাই আইন অনুসারে ক্রিপ্টোকারেন্সি তে ট্রেডিং ভারতে নিয়ন্ত্রিত করার জন্য যে আইন রয়েছে সেটা জানাটা সাধারণ মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ক্রিপ্টোকারেন্সি কি?

ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো একটি ডিজিটাল অথবা আবাসি মুদ্রা যা কিনা বিনিময়ের মাধ্যম রূপে কাজ করে থাকে। আর বিসিএস ক্রিপ্টোকারেন্সি নতুন নির্মাণের নিয়ন্ত্রিত করার জন্য লেনদেন কে সুরক্ষিত আর সংরক্ষিত করার জন্য ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করা হয়।

তাছাড়া ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি ডেটাবেজ সীমিত বিষয়। যাকে ততক্ষণ পর্যন্ত বদল করা যাবে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত কিছু শর্ত পূরণ করা না হয়ে থাকে।

ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং আইনত কি? 

সরকার সময় সময় ভারতের জনগণকে আবাসি মুদ্রা সম্পর্কে বোঝাপড়া করার জন্য যে সমস্ত সমস্যা তৈরি হতে পারে সে বিষয়ে বেশ ধ্যান-ধারণা দিয়ে রেখেছে। যেখানে বলা হয়েছে যে, আভাসি মুদ্রা এক বৈধ আইন অনুসারে নয়।

যেখানে এক্ষেত্রে ভারতে কোন রকম সুরক্ষা নেই এছাড়াও R.B.I. দ্বারা দেশের সম্পত্তি প্রণালীতে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের সম্ভাবিত প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে প্রেস এর মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করা হয়েছে।

এছাড়া ভারতের ক্রিপ্টোকারেন্সি এর ব্যবসা করা সমস্ত রকম সংস্থাকে এই বিষয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তাদেরকে সতর্ক করার জন্য। এছাড়াও ভারতের সর্বোচ্চ বিচারালয় ইন্টারনেট আর মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া বনাম ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক এর মামলাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি যেখানে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা করার ইচ্ছুক ভারতে উপভোক্তা দের জন্য খুবই কম আসা রাখে আর বি আই দ্বারা অধিক সূচনা থেকে আলাদা করা হয়েছে।

শীর্ষ আদালত সিদ্ধান্ত অনুসারে  মুদ্রা পুর্তি আর সুদ এর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর রূপে অর্থব্যবস্থার আর বি আই এর ভূমিকা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সেখানে আর বি আই এর উদ্দেশ্য হলো মূল্যের স্থিরতার রক্ষণাবেক্ষণ করা।

ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি কে নিয়ন্ত্রিত করার জন্য আইন: 

যেভাবে উপরে বলা হয়েছে যে, ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি লিগাল নয় অর্থাৎ আইনত নয়। ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং কোনভাবে আইনত নয় ভারতে। আর এক্সচেঞ্জ কারণ হওয়ার আইন হওয়া সত্বেও সরকার এদিকে সঞ্চালিত করার জন্য খুবই কঠিন করে দিয়েছে। তাছাড়া ক্রিপ্টোকারেন্সি এর ট্যাক্স স্থিতি স্পষ্টতা খুবই কম।

কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ ট্যাক্স বোর্ডের অধ্যক্ষ বলেছেন যে বিটকয়েন থেকে লাভ উপার্জন করা যে কোন ব্যক্তিকে ওই বিটকয়েনের উপরেই ভর পাই করতে হবে। আয়কর বিভাগ দ্বারা এই সূচনাও দেয়া হয়েছে যে, ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে যে লাভ হবে, সেখানে রেজিস্টার্ড লাভ এর রূপে লাগানো যেতে পারে।

কেননা ক্রিপ্টোকারেন্সি কে নিয়ন্ত্রিত করার জন্য কোন রকম বিশিষ্ট আইন কানুন নেই, এই জন্য ভারত সরকার ক্রিপ্টোকারেন্সি অনিয়মিত এর সম্ভাবনা দেখছে। ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে আর সরকারের ডিজিটাল মুদ্রা বিধেয়ক 2019 এর বে নিয়ম অনুসারে বিট কয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি হোল্ডিং বিক্রি অথবা কন্টাক্ট আপনাকে ১০ বছরের জন্য জেল করিয়ে দিতে পারে। ক্রিপ্টোকারেন্সি কে সম্পূর্ণরূপে অবৈধ বানানো ছাড়াও ক্রিপ্টোকারেন্সি কে বিনা জামিন অপরাধ মানা হয়ে থাকে। তাছাড়া বিলের ভাগ্য আজ পর্যন্ত অজানা নয়।

এছাড়া অন্য অনেক দেশ রয়েছে যেখানে বিটকয়েন অথবা ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং বৈধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। যেখানে ব্যবসার মধ্যে ইনভেস্ট এর মধ্যে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি পড়ে এবং সেখানে সেটা আইনত হিসেবে মনে করা হয়।

বিভিন্ন দেশের উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে, যেখানে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি অথবা বিটকয়েনের গতিবিধি কে অনিয়মিত করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ রয়েছে, যা কিনা সফলতা দিতে পারে। তাছাড়া এই ব্যবসার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়, না হলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

এছাড়া ভারতের সর্বোচ্চ বিচারালয় এই বিষয়ের উপরে চর্চা করার ক্ষেত্রে বিষয়টিকে নোট করা হয়েছে, কিন্তু এই বিষয়টি এখনও পর্যন্ত কোনো রকম বাস্তব রূপ পায়নি, কেননা অধিনিয়ম এখনো পর্যন্ত বিল এর আকারে রয়েছে।

এই বিষয়ে একজন উকিল আপনাকে কিভাবে সহযোগিতা করতে পারেন? 

ভারতের ক্রিপ্টোকারেন্সি এভেলেবেল নেই, আর এই বিষয়টি কে এখনো পর্যন্ত চালু করার জন্য বা বাস্তবায়িত করার জন্য কোন রকম নিয়ম নেই। সেই কারণে কর্পোরেট উকিল এর প্রয়োজনীয়তা আপনার পড়তে পারে। আপনি এমন উকিলের পরামর্শ নিতে পারেন।

কেননা এই সম্বন্ধিত যেকোনো লেনদেন এর মধ্যে শামিল হওয়ার আগে ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত যেকোনো অপারেশনের জন্য সতর্কতা ও আইনি জ্ঞান থাকাটা অবশ্যই প্রয়োজনীয়। যেটা ছাড়া এই বিষয়ে শামিল ব্যক্তি খুবই ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। তার সাথে সাথে আইনি অনেক দোষের মধ্যে পড়তে পারেন।

এছাড়া দ্রুত লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট এবং ট্রেডিং এর মধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তবে ভারতে এটা এখনো পর্যন্ত এভেলেবেল নেই। সেই কারণে এটি এখনো পর্যন্ত বিল এর আকারে রয়েছে। বাস্তবায়িত হওয়া পর্যন্ত অবশ্যই সময় নেওয়াটা জরুরি।

কেননা আইন অনুসারে আপনি এই ব্যবসা করতে পারবেন না, বা যদি এমন লেনদেন করে থাকেন সেক্ষেত্রে আইন আপনার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকা টা আপনার জন্য জরুরী।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top