ট্রাফিক নিয়ম এবার থেকে আরো কঠিন হয়ে গেছে। মোদী সরকার পুরাতন ট্রাফিক নিয়মে অনেক পরিবর্তন করেছেন। এবার ২৫০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে জরিমানা ও জেল।
ট্রাফিক নিয়ম না মানলেই হতে হবে এই জরিমানার মুখোমুখি। মোদী সরকার ১৯৮৮ সালের পুরাতন মোটর যানবাহন আইনে অনেক পরিবর্তন করেছেন আর নতুন নিয়ম বানিয়েছেন।
আগে থেকে দেখে নিন কি কি নতুন নিয়ম হয়েছে।
শুধু মাত্র ট্রাফিক নিয়মে পরিবর্তন হয়নি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, রাস্তা তৈরী করা ঠিকেদার ও সিভিক এজেন্সি ইত্যাদির জন্য এই মোটর যানবাহন আইনে নতুন নিয়ম দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও এই মোটর যানবাহন আইনে জানানো হয়েছে রাস্তায় দুর্ঘটনা হলে মৃত ও আহতদের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে (এই বিষয়ে আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন →)।
মোটর যানবাহন আইনের নতুন নিয়মগুলি দেখে নিন
১. মোটর যানবাহন আইনের অনুসারে মদ খেয়ে গাড়ি চালালে ১০,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। আগে ২০০০ টাকা জরিমানা ছিল।
২. মোটর যানবাহন আইনের অনুসারে মোবাইল ফোন কথা বলতে বলতে গাড়ি চালালে ৫০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। আগে ১০০০ টাকা ছিল।
৩. মোটর যানবাহন আইনের অনুসারে বিনা হেলমেট পরে গাড়ি চালালে ১০০০ টাকা জরিমানা এবং ৩ মাসের জন্য লাইসেন্স বরাদ্দ করা হবে। আগে ১০০ টাকা জরিমানা ছিল।
৪. বিনা ড্রাইভিং লাইসেন্স গাড়ি চালালে ৫০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। আগে ৫০০ টাকা জরিমানা ছিল।
৫. খারাপ ভাবে গাড়ি চালালে (রাশ ড্রাইভিং) ৫০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। আগে ১০০০ টাকা জরিমানা ছিল।
৬. তীব্র গতিতে গাড়ি চালালে ৫০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। আগে ৫০০ টাকা জরিমানা ছিল।
৭. সিটবেল্ট না লাগিয়ে গাড়ি চালাতে ১০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। আগে ১০০ টাকা জরিমানা ছিল।
৮. ইমার্জেন্সি গাড়িকে সেড না দিলে ১০০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। আগে এই নিয়ম ছিল না।
৯. যদি কোনো নাবালক গাড়ি চালাতে ধরা পরে তাহলে তার অভিভাবককে বা গাড়ির মালিক কে ২৫০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে এবং ৩ বছরের জেল ও হতে পারে। এই ক্ষেত্রে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন বরাদ্দ করা হবে।
১০. গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আধার নাম্বার অবশ্যই দিতে হবে।
১১. নতুন লাইসেন্স বানালে গেলে আধার নাম্বার জরুরি করে দেওয়া হয়েছে।
১২. লাইসেন্সের বৈধতা শেষ হয়ে গেলে আগামী ১ বছরের মধ্যে রিনিউ করতে পারে। এর আগে বৈধতা শেষ হবার ১ মাসের সময় দেওয়া হত।
১৩. যদি রাস্তার ডিজাইন ভুল হয়, রাস্তা বানানো ঠিক করে না হয় এবং যদি রাস্তার দেখভাল ভালো করে না করা হয় এই ক্ষেত্রে যদি দুর্ঘটনায় কারো মৃত্যু হয়ে থাকে তাহলে রাস্তা বানানো ঠিকেদার, পরামর্শকারী এবং সিভিক এজেন্সি কে দায়ী মানা হবে। এই দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরনের কাজ ৬ মাসের মধ্যে মেটাতে হবে।
১৪. যদি গাড়ির পার্টসের কোয়ালিটি কম থাকার জন্য দুর্ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে ওই সমস্ত গাড়িকে সরকার ফেরত নিয়ে নেবার অধিকার রাখে। এই ধরণের গাড়ির কোম্পানির ওপর ৫০০ কোটি টাকার জরিমানাও হতে পারে।
আমাদের এই তথ্য আপনাদের সাহায্য করবে, যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই সকলের থাকে শেয়ার করবেন। আর এই ধরণের আরো তথ্যের জন্য নজর রাখবেন আমাদের ওয়েবসাইটে।