নীরজ চোপড়া কে? কি করেন? কোথায় বাড়ি? জীবনে কিভাবে সফল হয়েছেন? আসুন জেনে নিন নীরজ চোপড়া এর জীবন পরিচয়, পরিবার, শিক্ষা, মোট ইনকাম, পুরস্কার ও অনান্য বিবরণ জানুন (Neeraj Chopra Biography in Bengali)।
নীরজ চোপড়ার নাম শোনেন নি এমন মানুষ খুবই কম আছেন, যিনি কিনা ভারতের বর্ষা নিক্ষেপকারী হিসেবে একজন স্বর্ণপদক বিজয়ী।
২০২২ সালে নীরজ চোপড়া ইতিহাস সৃষ্টি করেন, (Neeraj Chopra in World Athletics Championships) বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে সিলভার মেডেল জয়ী প্রথম ভারতীয় হয়ে উঠেন। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে নীরজ চোপড়া দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে পদক জিতেছেন।
জাতীয় স্তরের খেলোয়াড়, তিনি ২০২১ সালে টোকিও অলিম্পিক কে ভারতের হয়ে স্বর্ণপদক জিতেছেন। যেখানে টোকিও অলিম্পিকে বর্ষা নিক্ষেপ এথিলেটিক নীরজ চোপড়াকে টোকিও অলিম্পিকে জাভেলিন থ্রো প্রতিযোগিতা তে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন।
২০২১ সালে এই বর্ষা নিক্ষেপ করার প্রতিযোগিতায় ফাইনাল খেলা তে সব থেকে বেশি ৮৭.৫৮ মিটার দীর্ঘ বর্ষা নিক্ষেপ করে তিনি সকলের মন জয় করে নেন।
এমনই একজন স্বর্ণপদক বিজয়ী নীরজ চোপড়ার জীবন কাহিনী সম্পর্কে অনেকেই হয়তো অবগত নন। তো চলুন তাহলে আজকের এই লেখাতে জানা যাক তার জীবনের কিছু অংশ:
সম্পূর্ণ নাম: | নীরজ চোপড়া |
জন্মস্থান: | হরিয়ানা রাজ্যের পানিপথ, ভারতবর্ষ |
জন্মতারিখ: | ২৪ শে ডিসেম্বর ১৯৯৭ সাল |
পিতার নাম: | সতীশ কুমার |
মায়ের নাম: | সরোজ দেবী |
শিক্ষাগত যোগ্যতা: | গ্রাজুয়েট অথবা স্নাতক |
পেশা: | অ্যাথলেটিক, জাতীয় পর্যায়ের জাভেলিন থ্রো এর খেলোয়াড় |
জ্যভেলিন থ্রোতে বিশ্ব রাঙ্কিং | চতুর্থ নম্বর |
প্রশিক্ষকের নাম: | উবে হোন |
জাতীয়তা: | ভারতীয় |
ধর্ম: | হিন্দু |
ভারতীয় সেনায় পদ: | সুবেদার হাবিলদার |
নীরজ চোপড়ার জন্ম:
আমরা আগেই জেনেছি যে, ১৯৯৭ সালের ২৪শে ডিসেম্বর নীরাজ চোপড়া হরিয়ানার পানিপথ শহরে জন্মগ্রহণ করেছেন। বাবার নাম সতীশ কুমার এবং মায়ের নাম সরোজদেবী। নীরজ চোপড়ার বাবা সতীশ কুমার পানিপথ জেলা শহর থেকে দূরে খন্ডরা গ্রামের একজন সাধারণ কৃষক বলা যায়। তিনি কৃষি কর্ম করে তার জীবিকা নির্বাহ করতেন।
অন্যদিকে নিরাজ এর মা একজন গৃহিণী অর্থাৎ গৃহবধূ হিসেবে পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব পালন করেন। নীরজ চোপড়া হলেন পরিবারের বড় ছেলে এবং তারা মোট পাঁচ ভাই বোন। তিনটি ভাই ছাড়াও দুটি ছোট বোন আছে, সুন্দর হ্যাপি ফ্যামিলি, কি বলেন !
নীরজ চোপড়ার শিক্ষাগত জীবনী:
তার শিক্ষা জীবন শুরু হয় হরিয়ানা রাজ্যের পানিপথ শহরে, ভারতের তরুণ অ্যাথলেটিক নীরব চোপড়ার এই অদম্য ইচ্ছা প্রতিটি তরুণদের মনে আশার আলো জাগায়।
এরপরে নীরজ চোপড়া তার হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন সম্পূর্ণ করার পর বিবিএ কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই তিনি গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করে।
নীরজ চোপড়ার কোচ অথবা প্রশিক্ষক:
সব থেকে তরুণ বর্ষা নিক্ষেপক খেলোয়াড় হিসেবে নীরজ চোপড়া সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। তার ব্যক্তিগত কোচ অথবা প্রশিক্ষক হলেন উবের হোন, যিনি ব্যক্তিগতভাবে জার্মানির একজন খুবই ভালো বর্ষা নিক্ষেপক খেলোয়াড় ছিলেন।
তাছাড়া মনে করা হয় যে এই উবে হোন প্রশিক্ষকের সু- প্রশিক্ষণের জন্যই কিন্তু নীরজ চোপড়া ভারতের হয়ে ২০২১ সালে টোকিও অলিম্পিকের স্বর্ণপদক জিতে ভারতের নাম আরো উজ্জ্বল করেছেন।
এছাড়া নীরব যখন খুবই ছোট ছিল মাত্র ১১ বছর বয়স থেকে বর্ষা নিক্ষেপ করতেন। ২০১৪ সালের নীরজ চোপড়া একটি অন্তরাষ্ট্রীয় কোম্পানি থেকে ৭ হাজার টাকা দিয়ে একটি উন্নত মানের বর্ষা কিনেছিলেন যেটা তার কাছে খুবই পছন্দের ছিল।
এরপর ২০১৬ সাল থেকে নীরজ তার কোচ উবে হোন এর প্রশিক্ষণে খেলার ময়দানে কঠিন পরিশ্রম করতে শুরু করেন। তার খেলার এই অক্লান্ত পরিশ্রম বিশ্ব রেকর্ড করতে সহযোগিতা করেছে।
তার পরের বছর ২০১৭ সালে এক লক্ষ টাকা ব্যয় করে আরো একটি ভালো ব্রান্ডের বর্ষা তিনি কেনেন। ২০১৭ সালে এশিয়ান গেমসে বর্ষা নিক্ষেপ প্রতিযোগিতায় ৫০.২৩ মিটার দীর্ঘ বর্ষা ছুড়ে ফাইনাল ম্যাচে বিজয়ী হয়েছেন।
নীরজ চোপড়ার ভারতীয় সেনাতে যোগদান:
একজন তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে নীরজ চোপড়া অনেক তরুণদের মন কেড়ে নিয়েছেন। শুধুমাত্র ১৯ বছর বয়সে নীরজ চোপড়া ভারতীয় সেনাতে স্পোর্টস কোটায় ভর্তি হয়ে যান।
প্রথম দিকে তাকে ভারতীয় সেনার রাজপুতনা, রাইফেলসে সামিল করা হয়েছিল। এছাড়া অদম্য ইচ্ছা, নীরাজের কর্ম দক্ষতা দেখে নীরাজকে ভারতীয় সেনায় সুবেদার হাবিলদারের পদে মনোনীত করা হয়।
কিন্তু নীরজের মুখ্য লক্ষ্য ছিল খেলাধুলা অথবা স্পোর্টস। এছাড়া নীরজের বর্ষা নিক্ষেপণে (Javelin Throw) অভাবনীয় প্রতিভা দেখে ভারতীয় সেনা আধিকারিকরা বর্ষা নিক্ষেপণের জন্য নীরজের খুবই ভালো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেয়। আর সেটাই নীরজ চোপড়ার জীবনে একটি ভালো টার্নিং পয়েন্ট বলা যায়।
খেলোয়ার হিসেবে নীরজ চোপড়ার আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড:
১) ২০১২ সালে উত্তরপ্রদেশের লখনৌ শহরে আয়োজিত হওয়া ১৬ তম ন্যাশনাল জুনিয়র জ্যামিলিয়ন থ্রো প্রতিযোগিতায় ৬৮.৪৬ মিটার বর্ষা নিক্ষেপ করে প্রথম বারের মতো স্বর্ণপদক জিতেছিলেন।
২) এরপর ২০১৩ সালে ন্যাশনাল ইউথ চ্যাম্পিয়ন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন নীরজ চোপড়া, আই এ এ এফ (IAAF) বিশ্ব ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে জায়গা করে নেন।
৩) ২০১৫ সালে ইন্টার ইউনিভার্সিটি চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা তে ৮১.০৪ মিটার বর্ষা নিক্ষেপ করে নীরজ চোপড়া তার এজ গ্রুপ তে সেরা বর্ষা নিক্ষেপক এর জন্য সবার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন।
৪) তারপর ২০১৬ সালে নীরজ চোপড়া বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় ৮৬.৪৮ মিটার বর্ষা নিক্ষেপ করে স্বর্ণপদক জিতে আনেন।
৫) ২০১৬ সালে আরও একটি বার দক্ষিণ এশিয়ান বর্ষা নিক্ষেপণ প্রতিযোগিতাতে প্রথম রাউন্ডেতেই ৮২.২৩ মিটার বর্ষা নিক্ষেপ করে স্বর্ণপদক জেতেন।
৬) ২০১৮ সালে কমনওয়েলথ গেমে বর্ষা নিক্ষেপণ প্রতিযোগিতাতে তিনি ৮৬.৪৭ মিটার বর্ষা নিক্ষেপ করে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন।
৭) এরপরে ২০১৮ সালে জকর্তা এশিয়ান গেমে ৮৮.৬ মিটার বর্ষা নিক্ষেপ করে সেখান থেকেও ভারতের হয়ে স্বর্ণপদক জিতে এনেছিলেন।
৮) তবে এখানে একটা কথা বলে রাখা জরুরী যে, বর্ষা নিক্ষেপণ খেলোয়াড় হিসেবে নীরজ চোপড়া কিন্তু প্রথমবার ভারতের হয়ে এশিয়ান গেমে স্বর্ণপদক জিতে এনেছিলেন। যা কিনা ভারতের জন্য খুবই গর্বের বিষয়।
৯) ২০২২ সালে (World Athletics Championships) বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে সিলভার মেডেল জয়ী প্রথম ভারতীয় হয়ে উঠেন।
নীরজ চোপড়ার বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২
২০২২ সালে নীরজ চোপড়া এক নতুন ইতিহাস তৈরি করেন। এই বছর নীরজ চোপড়া (World Athletics Championships) বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে সিলভার মেডেল জয়ী প্রথম ভারতীয় হয়ে উঠেন।
বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ৮৮.১৩ মিটার বর্ষা নিক্ষেপ করে সিলভার মেডেল নিজের নামে করেন এর সাথে ভারতের জন্য ইতিহাস বানিয়ে ফেলেন।
নীরজ চোপড়ার টোকিও অলিম্পিক ২০২০:
নীরদ চোপড়ার এই টোকিও অলিম্পিক ২০২০ তে বিজয়ী হওয়ার জন্য দেশের সমস্ত মানুষ খুবই গর্বের সাথে তাকে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করে থাকেন। ২০২১ সালের ৭ই আগস্ট বিকেল চারটে ৩০ মিনিট নাগাদ টোকিও অলিম্পিক ২০২০ এর বর্ষা নিক্ষেপণ প্রতিযোগিতা তে ফাইনাল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল।
তাছাড়া এর আগে বর্ষা নিক্ষেপণের অলিম্পিকের কোয়ালিফাই ম্যাচে ৮৬.৬৫ মিটার দীর্ঘ বর্ষা নিক্ষেপ করে ভারতের হয়ে টোকিও অলিম্পিক ২০২০ ফাইনাল ম্যাচে নীরজ নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করে নেন।
নীরজ চোপড়ার সেরা বর্ষা নিক্ষেপ:
নীরজ চোপড়ার সেরা বর্ষা নিক্ষেপ অনুসারে টোকিও অলিম্পিক ২০২১ এর বর্ষা নিক্ষেপণের ফাইনাল ম্যাচে ৮৭.৫৮ মিটার বর্ষা নিক্ষেপ করে নীরজ চোপরা একজন সেরা বর্ষা নিক্ষেপক এর মধ্যে অন্যতম হয়ে ওঠেন।
এছাড়া তার গ্রুপের ১৪ তম প্রতিদ্বন্দ্বী ফিনল্যান্ডের লোসি এটেলটালো তার আগের খেলায় খুবই ভালো প্রদর্শনের জন্য কোয়ালিফাই টেস্ট না দিয়েই অলিম্পিকের ফাইনাল ম্যাচে জায়গা করে নিয়েছিলেন, কিন্তু ভারতের এই তরুণ নীরজ চোপড়া অলিম্পিক এ কোয়ালিফাই ম্যাচের প্রথম রাউন্ডে ৮৩.৫০ মিটার বর্ষা ছুড়ে অলিম্পিকের ফাইনাল ম্যাচে নিজের জায়গায় করে নিয়েছেন।
এছাড়া বর্ষার নিক্ষেপণ প্রতিযোগিতাতে সমগ্র বিশ্বের বর্ষা নিক্ষেপণ খেলোয়াড়দের মধ্যে বিশ্ব রাঙ্কিং তে ভারতের তরুণ নীরজ চোপড়ার রাঙ্কিং হল সমগ্র বিশ্বের মধ্যে চতুর্থতম। যেটা ভারতের কাছে খুবই গর্বের বিষয়।
নীরজ চোপড়ার প্রাপ্ত পুরস্কার:
তার মতো তরুণ এই খেলোয়াড়ের পুরস্কারের সংখ্যা নিহাত কম নয়, ২০১২ সালের নীরজ চোপড়া জাতীয় জুনিয়র জ্যাভলিন থ্রো প্রতিযোগিতায় গোল্ড মেডেল জিতেছেন। ২০১৩ সালের নির্বাচনে ভারতীয় যুব চ্যাম্পিয়নশি প্রতিযোগিতায় রজত পদক জয় করেছিলেন।
এরপর ২০১৬ সালে এশিয়ার জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে রজত পদক জিতেছিলেন। ২০১৭ সালে এশিয়ান অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এবং সেখান থেকেও গোল্ড মেডেল জিতে এনেছেন দেশের জন্য। তারপরে ২০১৮ সালে নীরজ চোপড়া কে অর্জুন পুরস্কারে পুরস্কৃত করে সম্মানিত করা হয়।
বাৎসরিক আয়:
আয় নিয়ে হয়তো অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করবেন। তবে এখনো পর্যন্ত সঠিকভাবে তেমন কিছু জানা যায়নি বা বলাও যায় না। তবে কিছুদিন আগে নীরজ চোপড়াকে বিখ্যাত স্পোর্টস পানীয় নির্মাতা সংস্থা গ্যাটোরেড তাকে তাদের কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিযুক্ত করেছেন।
তবুও যাদের খুবই আগ্রহ আছে এ বিষয়ে, তাদের জন্য বলা যেতে পারে যে, নীরজ চোপড়ার বাৎসরিক আয় মোটামুটি পাঁচ মিলিয়ন (5 মিলিয়ান) ডলার ধরে রাখতে পারেন।
নীরজ চোপড়ার আরো অন্যান্য কিছু ঐতিহাসিক রেকর্ড:
আমরা সকলেই জানি যে, ভারতে অ্যাথলেটিক এ আজ থেকে ১২১ বছর আগে স্বর্ণপদক এসেছিল কিন্তু নীরজ চোপড়া টানা এই ১২১ বছর পর ভারতীয় অ্যাথলেটিক হিসেবে স্বর্ণপদক জিতে আনেন অলিম্পিক থেকে।
এছাড়া দীর্ঘ ১৩ বছর পরে ভারতের হয়ে নীরজ চোপড়া আরো একবার অলিম্পিক গোল্ড মেডেল জিতে নিয়ে এসেছেন। এছাড়া ২০০৮ সালে তীরন্দাজ জিতে অভিনব বৃন্দার পর ব্যক্তিগত বিভাগে আরো একবার নীরজ চোপড়া ভারতের হয়ে অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতে এনেছেন।
ভারতের একমাত্র খেলোয়াড় যিনি কিনা বর্ষা নিক্ষেপণ প্রতিযোগিতায় প্রথমবার অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতেছেন। এছাড়া এটা জেনে অবাক হবেন যে, নীরব চোপড়ার আগে কোন ভারতীয় খেলোয়াড় বর্ষা নিক্ষেপণ প্রতিযোগিতায় ভারতের হয়ে গোল্ড মেডেল জিতে নিয়ে আসতে পারেন নি।
নীরজ চোপড়ার আরো অন্যান্য আর্থিক পুরস্কার:
১) নিজের রাজ্য হরিয়ানা থেকে হরিয়ানা সরকার নীরজ কে ছয় কোটি টাকার নগদ অর্থ এবং সঙ্গে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
২) ভারতের ইন্ডিগো এয়ারলাইন এর পক্ষ থেকে এক বছরের জন্য নীরজ কে একেবারে নিঃশুল্ক বিমান যাত্রার কথা ঘোষণা করে দিয়েছে।
৩) উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর নগর পালিকার তরফ থেকে এক লক্ষ টাকার নগদ আর্থিক পুরস্কার প্রদান করার কথা ঘোষণা করা হয়।
৪) টোকিও অলিম্পিক ২০২০ তে স্বর্ণপদক জেতার জন্য এবং বিশ্বে ভারতের নাম উজ্জ্বল করার জন্য পাঞ্জাব সরকারের পক্ষ থেকে নীরজকে নগদ ২ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
৫) এছাড়া ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে নীরজ চোপড়াকে টোকিও অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ের জন্য নগদ এক কোটি টাকার আর্থিক পুরস্কার হিসেবে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
নীরজ চোপড়া একজন তরুণ খেলোয়াড়, যিনি লক্ষ লক্ষ তরুণ ছেলে মেয়েদের অনুপ্রেরণা হতে পারেন। তাছাড়া সারা বিশ্বে ভারতের নাম উজ্জ্বল করে তিনি আমাদের সবার মনে জায়গা করে নিয়েছেন। দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন এবং টানা ১২১ বছর পর স্বর্ণপদক জিতে এনেছেন অলিম্পিক থেকে।