YouTube থেকে টাকা উপার্জন কিভাবে করবেন? সঠিক পদ্ধতি জানুন

YouTube থেকে টাকা উপার্জন কিভাবে করবেন?: বর্তমানে অনলাইন থেকে উপার্জন করা ট্রেন্ডিং এ রয়েছে সে তো আমরা সকলেই জানি। তবে ভিডিও দেখার জন্য সার্চ করার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা ইউটিউব কে বেশি পছন্দ করি।

অর্থাৎ ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আমরা দেখতে পাই। যা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি, তবে ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব থেকেও ভালোমতো উপার্জন করা যায়, এমন ভাবে অনেক ইউটিউবার ভালো মতো উপার্জন করছেন প্রতিমাসে।

YouTube থেকে টাকা উপার্জন কিভাবে করবেন?
YouTube থেকে টাকা উপার্জন কিভাবে করবেন?

তো চলুন তাহলে জানা যাক, কিভাবে আপনি ইউটিউব থেকে উপার্জন করতে পারবেন : 

বর্তমানে YouTube সম্পর্কে জানেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। কেননা প্রায় প্রতিটি মানুষের হাতে আজ স্মার্টফোন আর সেই স্মার্ট ফোনে YouTube থাকবে না, এমনটা হতেই পারে না।

কেন ইউটিউব ব্লগিং এর তুলনায় বেশি ভালো অপশন টাকা উপার্জন করার জন্য?

বর্তমানে মানুষ এখন খুবই ফার্স্ট হয়ে গিয়েছেন, তাই ব্লগিং এর তুলনায় ইউটিউব ভিডিও সকলের খুবই পছন্দের। আর তার সাথে সাথে খুব তাড়াতাড়ি অনলাইন মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায়।

ইউটিউবের এক বিলিয়ন এর বেশি সক্রিয় উপযোগকর্তা রয়েছেন। যা এটিকে ইন্টারনেটের উপরে সবথেকে জনপ্রিয় সাইট এর মধ্যে একটি বানিয়ে থাকে। এটি আপনাকে উচ্চ পরিভাষা গুণমান ভরপুর ভিডিও আপলোড করার অনুমতি দিয়ে থাকে। যেগুলি বন্ধুবান্ধব, পরিবার আর আরো অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের সাথে আপনি শেয়ার করতে পারেন।

১) Domain আর Hosting এর Investment থাকে না: 

ইউটিউব এর সবথেকে বড় বিষয় হলো যে আপনাকে এখানে ডোমেইন ও হোস্টিং এর জন্য কোন রকম টাকা দিতে হবে না, অর্থাৎ ইনভেস্ট করার কোন প্রয়োজনই নেই। যা কিনা ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই ডোমেইন ও হোস্টিং। এখানে আপনি আপনার চ্যানেলের নাম এর উপরে আপনার অনলাইন Presence উপস্থিত করতে পারবেন।

আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ভিউয়ার আপনার সমস্ত ভিডিও আর রিসেন্ট এক্টিভিটিস কে দেখতে পারবেন। যার ফলে তাদের বিশ্বাস আপনার প্রতি অনেকখানি বেড়ে যাবে।

এর সাথে সাথে আপনি এটাও শুনতে পাবেন যে, যেটা আপনাকে অনেক বেশি আনন্দ দিতে পারে। সেটা হলো আপনার ডেটা বিশ্বের একটি টপ ওয়েবসাইটে উপস্থিত আছে, এর মানে হল এর সার্ভার পৃথিবীর প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রে উপস্থিত যেখানে ইন্টারনেট রয়েছে আর তার সাথে আপনার ডেটাও। সহজ করে বলতে গেলে কোনরকম টাকা খরচ করা ছাড়া আপনি ঘরে থেকেই ভালোমতো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

২) YouTube থেকে আপনি প্রথম দিন থেকেই টাকা উপার্জন করতে পারবেন: 

ইউটিউব এর এ বিষয়টি সবথেকে ভালো লাগার বিষয়। এখানে আপনি প্রথম দিন থেকেই টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এর জন্য শুধুমাত্র আপনাকে একটি ইউটিউব একাউন্ট তৈরী করতে হবে, আর একটি ভালো ভিডিও আপলোড করতে হবে।

তবে খেয়াল রাখতে হবে যে যে ভিডিও আপনি আপলোড করছেন ও ইউটিউব আর এডসেন্স এর শর্ত আর অবস্থানকে Violate যেন না করে। আর এই বিষয়টি হয়তো ব্লগিংয়ে একেবারেই Valid নয়।

৩) ইউটিউবে এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়া খুবই সহজ বিষয়: 

যদি আমরা ব্লগিংয়ে এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল এর কথা বলি, তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্লগারস কে চার থেকে পাঁচ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তবে সেখানে YouTube এর জন্য এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়া খুবই সহজ।

ইউটিউবে এডসেন্স একাউন্ট “AdSense for content Hosts” হয়, যা কিনা ট্রাডিশনাল বিজ্ঞাপন যেটা ব্লগে থাকে তার থেকে অনেকখানি আলাদা আর আলাদা ভাবে কাজ করে থাকে।

৪) YouTube এ অনেক বেশি ভিজিটর আর একটি বড় প্ল্যাটফর্ম পাওয়া যায়: 

ব্লগের তুলনাতে এখানে ভিজিটরের সংখ্যা অনেক বেশি থাকে। একবার যখন আপনি কোন ভিডিও আপলোড করে দেবেন, তখন খুব তাড়াতাড়ি সেটি কোটি কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যায় অর্থাৎ কোটি কোটি মানুষ সেই ভিডিও দেখতে পান।

আর যদি আপনার ভিডিও খুবই আকর্ষনীয় হয়ে থাকে তাহলে তো আর কথাই নেই, খুবই কম সময়ের মধ্যে ইউটিউবে সেলিব্রিটি হয়ে যেতে পারেন আপনি ! যেখানে ব্লগিং এ এমন পাবলিসিটি অর্থাৎ জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়।

YouTube থেকে টাকা উপার্জন করার পদ্ধতি:

বিশেষ করে যখন কথা হয় অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করার, তখন কিন্তু সবার আগে ভালো অপশন বলতে গেলে ব্লগিং (Blogging) আর ইউটিউব (YouTube) চ্যানেলের কথাই মাথায় আসে। এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা ব্লগে খুবই ভালো পারফর্ম করছেন। কিন্তু ব্লগিং এর তুলনায় ইউটিউব বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করে।

কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছেন যারা কিনা ইউটিউবে ভালো ভালো ভিডিও দিয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করার পর মনিটাইজ করতে হয় আর ইউটিউব চ্যানেল ব্লগিং এর তুলনায় বেশি টাকা উপার্জন করে আর এটি একেবারেই সত্যি।

তবে তার আগে আপনাকে বুঝতে হবে যে, ইউটিউব থেকে ভালোমতো টাকা উপার্জন করার জন্য আপনাকে কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে, তবেই আপনি খুবই ভালো উপার্জন করতে পারবেন।

তো চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক:

১) Google AdSense: 

আপনার ইউটিউব চ্যানেলের আপনি গুগল এডসেন্স এর সাহায্যে মনিটাইজ করতে পারেন। অ্যাডসেন্স আপনার ভিডিওর উপরে Contextual প্রদর্শন করে থাকে।

আর যখনই কোন ভিউয়ার সে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবেন তখন আপনি তার থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এটি ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করার সবথেকে ভালো পদ্ধতি।

২) Sponsorship: 

এই টাইপের ভিডিও থেকে টাকা উপার্জন করার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার চ্যানেলকে জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। আর একবার যখন আপনার চ্যানেলের উপরে সবার নজর পড়বে তখন আপনি সেখান থেকে বেশ ভালো মত টাকা উপার্জন করতে পারবেন। জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে স্পন্সার’স আপনাকে কন্টাক্ট করবেন আপনার চ্যানেল এর উপরে তাদের প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য।

যদি আপনি আপনার ভিডিওর শুরুতে অথবা শেষে দেখাতে পারেন সেই Ads, তাহলে এই বিজ্ঞাপনের জন্য কোম্পানি আপনাকে টাকা দিয়ে থাকে। বলতে গেলে এইভাবে আপনি স্পনসর্শিপ দিয়ে আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে বেশ ভালো মতো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

৩) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing):

এই পদ্ধতি ব্যবহার করেও আপনি খুব বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। ইউটিউব চ্যানেল থেকে, তাও খুবই কম সময়ের মধ্যে। এর জন্য আপনাকে যে কোন ভালো প্রোডাক্ট নির্বাচন করতে হবে। তারপর সেটি ব্যবহার করতে হবে। আর তার রিভিউ ভিডিও তৈরি করতে হবে।

এরপরে তার পারচেজ করার লিংক দিতে হবে আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর ডিসক্রিপশন বক্সে। যদি কোন ভিউয়ার ডিসক্রিপশন বক্স থেকে সেই লিংকের মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট পারচেস করে থাকেন তো, হিসাব অনুসারে আপনি সেই প্রোডাক্টের কিছু কমিশন পাবেন।

এইভাবে আপনি সমস্ত পদ্ধতি থেকে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে খুব কম সময়ের মধ্যে প্রতিমাসে ভালোমতো টাকা উপার্জন করতে পারেন। যদি আপনার কাছে ব্লগ না থাকে তো আপনি ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যখন আপনি একবার ব্লগ তৈরি করে নেবেন তখন ইউটিউব ভিডিও কে আপনার ব্লগে Intergrate করতে পারবেন।

ইউটিউব সমস্ত ভিডিও ফরোয়ার্ড কে সাপোর্ট করে। এখানে ক্যাটাগরির সংখ্যা অনেক বেশি। যার ফলে আপনার পছন্দের যেকোন বিষয়ের ভিডিও যুক্ত করতে পারবেন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে। এখানে সম্ভাবনা খুবই বেশি আর উপার্জনও আপনার ধারনার বাইরে।

CPM, RPM এবং eCPM আসলে কি? 

যদি আপনি YouTube নিয়ে খুবই আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে তো আপনাকে এই সমস্ত acronym সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে। যার জন্য নিচে দেওয়া বিষয়গুলি খুবই ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।

CPM:

  • এর ফুল ফর্ম হল Cost Per thousand and impression.
  • যখন কোন ভিডিওতে বিজ্ঞাপন আসে তো প্রতি হাজার বিজ্ঞাপন ইম্প্রেশন এর হিসেবে অ্যাডভারটাইজার Pay করে থাকেন।
  • সময়, gender, কনটেন্ট এবং ফ্যাক্টর এই সমস্ত CPM এর নির্ণয় হওয়ার আধার।
  • CPM .50 cent থেকে $10 পর্যন্ত thousand impression এ vary করে থাকে।
  • CPM seasonal হয়, উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ছুটির দিনে CPM এর মূল্য বেড়ে যায়।
  • যে সমস্ত দেশে ইংরেজি ভাষায় মানুষ কথা বলেন সেখানে সিপিএম (CPM) এর মূল্য অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো।

RPM এবং eCPM:

  • RPM এর ফুল ফর্ম হল Revenue per Thousand Views.
  • YouTube প্রায় 45% অ্যাড রেভিনিউ নিজের কাছে রেখে দেয়, যা কিনা কোন চ্যানেল এর ভিডিও থেকে জেনারেট হয়ে থাকে।
  • RPM এবং eCPM দুটি Similar হয়ে থাকে।
  • eCPM=Earnings÷Monetized Playbacks × 1000.
  • YouTube Earning কে সম্পূর্ণরূপে বোঝার জন্য আপনাকে YouTube Analytics ভালোভাবে বুঝতে হবে।

ইউটিউব থেকে ভালোভাবে উপার্জন করার জন্য কি করবেন আর কি করবেন না: 

কেননা আমরা সবাই জানি যে, YouTube চ্যানেল প্রচুর রয়েছে। তবে সাকসেসফুল ইউটিউবার খুবই কম। এর কোন না কোন কারণ তো অবশ্যই রয়েছে, তাই না ! কেন এত কম মানুষ সাকসেসফুল হতে পারেন এই ইউটিউব ফিল্ডে ?

তো এমন কিছু বিষয় সম্পর্কে জানা যাক, যেগুলি জানার পর আপনার YouTube সম্পর্কে অনেক খানি ধারণা হবে, যেখানে আপনি কোন কাজগুলি করবেন আর কোনগুলি করবেন না, জানুন।

কি করবেন: 

এমন ভিডিও বানাতে হবে যা কিনা বর্তমানের সাথে সাথে ভবিষ্যতে গিয়েও ভালোমতো পারফর্ম করতে পারে অর্থাৎ এক কথায় বলতে গেলে এভারগ্রীন (Evergreen Videos) ভিডিও আর যে সমস্ত ভিডিও সার্চ সবথেকে বেশি।

এমন ভিডিও বানান যা কিনা খুবই আকর্ষণীয় আর যে ভিডিও যেকোনো ভিউয়ার সম্পূর্ণ দেখতে চাইবেন।

কিছু এমন ভিডিও বানাতে হবে, যা কিনা বেশি Engaging হবে, যার ফলে বেশি বেশি কমেন্ট, লাইক, আর শেয়ার হতে থাকবে সেই ভিডিওর।

আপনার ভিডিওর নাম খুবই ভেবে চিন্তে রাখতে হবে, আর সেই হিসাবে সেখানে ডেসক্রিপশনে লিখতে হবে, তার সাথে ট্যাগ ও সেই হিসাবে যুক্ত করতে হবে। যাতে আপনার ভিডিও indexed হয়ে যায়। আর সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শিত হতে থাকে।

আপনার ইউজারদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করার জন্য উৎসাহিত করতে হবে।

অনেক বেশি ভিডিও বানাতে হবে এবং সেই ভিডিও গুলো যেন সব গুলোই খুবই ভালো কোয়ালিটির হয়ে থাকে, যেমন তেমন ভিডিও বানালে কিন্তু হবে না। ভিডিওর কোয়ালিটি যেন ভালো থাকে আর একটা কথা জরুরী সেটা হল ভিডিও বানানোর ক্ষেত্রে কখনো হার মানবেন না।

আপনার ভিডিও কে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন, যার ফলে অনেক বেশি ভিউয়ার্স আপনার সেই ভিডিও দেখতে পারেন।

অন্যান্য চ্যানেলের সাথে যুক্ত হোন এবং একে অপরের প্রমোশন করুন। যাকে ক্রস প্রমোশন (Cross Promotion) ও বলা হয়। এতে উইন – উইন সিচুয়েশন তৈরি হতে পারে, আর সকলের জন্য সেটা ভালোও। 

কী করবেন না:

# সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কখনোই অন্য কারোর ভিডিও কপি-পেস্ট না করা। এমন করার ফলে আপনি খুবই তাড়াতাড়ি ধরা পড়বেন, আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যান্ (Account Ban) ও হয়ে যাবে। তার সাথে সাথে আপনি যে ভিডিওগুলো আপলোড করেছেন সেগুলো ডিলিট করা হবে, বলতে গেলে আপনি যেখানে ছিলেন সেখানেই রয়ে গেলেন।

# ইউটিউব এর নিয়ম এর অধীনে ভিডিও বানাতে হবে। Explicit Videos কখনোই বানাবেন না, যে ভিডিও বানানোর পার্মিশন ইউটিউব কখনোই দেয় নি।

কোন ধরনের ভিডিও (Video Content) আপনি বানাতে পারেন ?

ভিডিও বানানোর ক্ষেত্রে অনেকগুলি বিষয়ের প্রতি আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, যেমনটা আগে বলা হয়েছে যে, ভিডিও যেন সবসময় আকর্ষণীয় হয়, তবেই না যে কোন মানুষ আপনার ভিডিও মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত দেখবেন, তাই না ! এমন কিছু ভিডিও বানান যেখানে ভালো কনটেন্ট থাকবে আর আকর্ষণ তো অবশ্যই থাকা জরুরী।

এমন কিছু বিষয়ের উপরে আপনি ভিডিও বানাতে পারেন যেগুলো মানুষের খুবই পছন্দের। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু টপিক সম্পর্কে: 

১) বিভিন্ন ফটো, ভয়েস ওভার এর সাথে: 

ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট, অদ্ভুত কথা, আরো অন্যান্য জ্ঞান প্রদানকারী ছবি কালেক্ট করতে হবে, তারপর অ্যারেঞ্জ করে সেখানে আপনার ভয়েস দিয়েও ভিডিও তৈরি করতে পারেন।

২) Tutorials: 

এমন জিনিস সম্পর্কে আপনাকে ভিডিও বানাতে হবে যার টিউটোরিয়াল আগে থেকেই উপস্থিত নেই ইউটিউব চ্যানেলে।

৩) রিভিউজ (Reviews):

আমরা দৈনন্দিন জীবনে যে সমস্ত জিনিসপত্র ব্যবহার করি সেই সমস্ত জিনিসপত্র অথবা ফ্লাইট, কোন হোটেল অথবা কোন রেস্টুরেন্ট বা কোন জায়গায় ঘুরতে গেলেন সে সমস্ত বিষয় নিয়ে আপনার ধারণা নিয়ে রিভিউ দিতে পারেন। যেগুলি ব্যবহার করে অনেকের উপকার হতে পারে, তবে অবশ্যই আগে আপনাকে নিজের উপরে ট্রাই করতে হবে।

৪) Time Lapse Videos: 

এমন ভিডিও যা কিনা আপনার অতীতের পুরানো স্মৃতিকে তরতাজা করে দিতে পারে। এমন ভিডিও সকলেই পছন্দ করেন, তাছাড়া বর্তমানে এমন ভিডিও মানুষের মনে দাগ কেটে যাচ্ছে। তাই আপনি এই টপিকের উপর নির্ভর করে সুন্দর সুন্দর ভিডিও তৈরি করতে পারেন।

তবে সবশেষে একটা কথা বলা জরুরী যে, ধৈর্য (Patience) হলো সাকসেসফুল হওয়ার মূলমন্ত্র। যদি আপনি যে কোন ফিল্ডে সাকসেসফুল হতে চান অর্থাৎ সফল হতে চান, তাহলে যেটা আপনার সব থেকে বেশি প্রয়োজন সেটা হল ধৈর্য। আপনাকে ধৈর্য রাখতে হবেই। আপনার খারাপ পরিস্থিতিতেও মনের জোর রেখে ধৈর্য রাখতে হবে। তখনই কিন্তু আপনি একজন সাকসেসফুল ইউটিউবার হতে পারবেন।

আর একটি কথা, ভালো ফ্যান ফলোইং তৈরি হয়ে গেলে তখন তো আপনি এই ফিল্ডে ভালো টাকা উপার্জনও করতে পারবেন। তার সাথে সাথে আপনার আত্মবিশ্বাস, জীবনযাপন, অর্থাৎ লাইভ স্টাইল চেঞ্জ হয়ে যাবে। যেটা আপনি নিজই  নিজের চোখের সামনেই দেখতে পাবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top